Description
একজন মানুষের জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রজ্ঞান এবং প্রজ্ঞানের মাধ্যমে অর্জনীয় যাবতীয় সাফল্য বহু মানুষের স্বেদ শোণিত আর অশ্রু দাবি করে। বহু মানুষের আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে কোনো একক ব্যক্তি প্রখ্যাত ও প্রসিদ্ধ হয়। এবার যদি প্রশ্ন করি, এমন একক প্রখ্যাতি ও প্রসিদ্ধির লক্ষ্য কী? মানুষ কেন সাফল্যের স্বপ্ন দেখে? সাফল্য মানুষকে কতটা সফলতা দেয়? সফল মানুষ কতটা সফল? ‘অঙ্গুলিমাল’ উপন্যাস এমন একটি জটিল, কঠিন, এবং অমীমাংসিত প্রশ্নকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে।
“কোশলরাজের পুরোহিত ভার্গব-পুত্র অঙ্গুলিমাল। তাঁর জন্মের পর দৈবজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন— কালে তিনি একজন ভয়ংকর দস্যু হবেন। তাই ভার্গবের ইচ্ছা ছিল তিনি পুত্রের প্রাণ নাশ করবেন। কিন্তু কোশল-রাজের আদেশে তিনি এই সংকল্প ত্যাগ করেন।
অঙ্গুলিমালের প্রকৃত নাম অহিংসক। তক্ষশিলায় বিদ্যাশিক্ষার সময় তিনি অসাধারণ সেবার পরিচয় দেন। সহপাঠীদের কেউ তাঁর সমকক্ষ ছিলেন না। তাই তাঁর সতীর্থরা ঈর্ষাবশত গুরুর কাছে এই বলে মিথ্যা অভিযোগ করেন যে, তিনি গুরুপত্নীর প্রতি প্রণয়াসক্ত। ক্রুদ্ধ গুরু পূর্বাপর বিবেচনা করে তখন তাঁকে নির্দেশ দিলেন— বৎস অহিংসক, যদি তুমি এক সহস্র মানুষের প্রাণ নাশ করে প্রত্যেকের একটি করে আঙুল এনে আমাকে দেখাতে পার তবেই তোমাকে বিদ্যা দান করব, অন্যথায় এই বিদ্যালয় ত্যাগ করতে হবে।”
গুরুর নির্দেশে এরপর গুরুকুল ত্যাগ করেন অহিংসক। ৯৯ জনকে হত্যা করে আঙুলকেটে গলায় পরার পর মুখোমুখি হন গৌতম বুদ্ধের সঙ্গে। ১০০ তম জন গৌতম বুদ্ধকে হত্যা করতে উদ্যত হন অঙ্গুলিামল।
তারপর কী হয়?
তাই নিয়েই এই উপন্যাস।
Reviews
There are no reviews yet.