Description
শীতকাল এসে গেছে, সুপর্ণা। সকালবেলার স্নানের জলে ধোঁয়া ধোঁয়া বরফভাঙা ছোঁয়ায় , দুপুরের উত্তুরে কনকনে শনশন হাওয়ায় কমলালেবু ছাড়াতে ছাড়াতে, রাত্রের সার্কাস মাঠ থেকে ভেসে আসা কীর্তন গানে, শচীমার আর্ত আহ্বানে, লেপের নরম ওমে গলে যেতে যেতে মালুম হয়…শীতকাল এসে গেছে। আচ্ছা, যদি ধরা যায় শীতকাল এমন একটি গন্তব্য, এমন একটি স্টেশন, যেখানে খুব অল্প ট্রেন দাঁড়ায়- অথবা কোনো ট্রেনই দাঁড়ায় না। কুয়াশায় মোড়া সাদা পাহাড়ের ব্যাকড্রপ থেকে উঁকি দেয় সবুজ জংলা পাহাড়ের টুকরো-টাকরা। ট্রেন ঝিকঝিক ঝুকঝুক করে দাঁড়াল সেই নাম-না জানা লাল মোরাম বিছানো প্ল্যাটফর্মে। ট্রেনের জানলায় শিশুর বিস্ময় মাখানো ছোটোবেলা চোখের পলকে পেতে রেখে স্টেশনে নেমে গেল এক বৃদ্ধ শরীর। এত কুয়াশা আঠার মতো জড়িয়ে যে স্টেশনের নামটা পর্যন্ত পড়াই গেল না। ট্রেন দিল ছেড়ে। স্টেশনের একচিলতে সবুজ আলোর লন্ঠন কুয়াশা ভেঙে জ্বলে উঠল অনিয়মে, অনিশ্চয়তায় এক পলক, দু-পলক।অলক্ষ্যে কোথাও ঘোষিকার কণ্ঠ ভেসে এল, অনেক কুয়াশার পাহাড় প্রহর ভেঙে, অনেক সন্ধ্যের তারা জ্বলে ওঠার মতো চুপিসাড়ে ভেসে এল ফিশফিশে কণ্ঠে… “পরবর্তী স্টেশন…শীত” !
শুধুমাত্র শীত এবং শীতের অনেক বর্ণহীন অনুভূতিকে নরম উষ্ণতায় শব্দের শরীর দিয়েছে দেবস্মিতা। শীত নিয়ে সামান্য দু-চার শব্দে সাদা ক্যানভাসের শরীরে ফুটিয়ে তুলেছে শীতের চতুর্দশপদী। ক্রমশ একা হতে থাকা উষ্ণতারা দেবস্মিতার গলায় একসাথে কথা হয়ে ফুটেছে সন্ধ্যের বনফায়ারের ফুলকিতে।
পরবর্তী স্টেশন শীত
Reviews
There are no reviews yet.